আজ || সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম :
 


সিরিজ বোমা হামলা মামলায় সাতক্ষীরায় ১২ জনের কারাদণ্ড

১৭ আগস্ট ২০০৫ সালের দেশব্যাপী ৬৩ জেলায় জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সাতক্ষীরায় ১২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

সাতক্ষীরার পাঁচটি স্থানে বোমা হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা ছয়টি মামলার মধ্যে পাঁচটি মামলায় ১৪ জন আসামির মধ্যে আট জনকে সর্বোচ্চ ১৩ বছর ও বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় মোট ১৪ জন আসামির মধ্যে দুই জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. শরিফুল ইসলাম এ রায় দেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মনিরুজ্জামান, নুর আলী, গিয়াস উদ্দিন মুন্না, ইসমাইল ওরফে হাবিবুর রহমান, বেল্লাল হোসেন ওরফে আব্দুল্লাহ, মোন্তাজ ওরফে মমতাজ, মাহবুবুর রহমান, নাইম, ফকর উদ্দিন, মনোয়ার হোসেন, আসাদুল ও আনিসুর রহমান খোকন।

খালাস পেয়েছেন আবুল খায়ের ও সাইফ ওরফে আসাদুজ্জামান।

সাতক্ষীরা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩টি জেলায় একসঙ্গে বোমা হামলা চালায় জেএমবি। এর মধ্যে সাতক্ষীরা শহরের শহীদ রাজ্জাক পার্ক, জেলা জজ আদালত চত্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বর, বাস টার্মিনাল ও খুলনা মোড়সহ পাঁচটি স্থানে একযোগে এ বোমা হামলা ও নিষিদ্ধ লিফলেট ছড়ানোর ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিনই সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল চত্বরে বোমা হামলাকারী শহরতলীর বাকালের দলিলউদ্দিন দফাদারের ছেলে নাসিরুদ্দিন দফাদার প্রত্যক্ষদর্শী বাকাল ইসলামপুর চরের পকেটমার রওশানের বিবরণ মতে ধরা পড়ে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরার রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটি চিহ্নিত করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ২০০৫ সালে পাঁচটি মামলা দায়ের করে।

পরবর্তীতে ২০০৭ সালে সাতক্ষীরা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোহাম্মদ বাদী হয়ে আরো একটি মামলা দায়ের করেন। এ সব মামলায় কমপক্ষে ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের ঢাকায় জেআইসিতে (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছাড়াও জেএমবির বহু গোপন তথ্য জানায় তারা। পরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয় সাতক্ষীরায়। গ্রেফতার হওয়া সব আসামি সাতক্ষীরার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।


Top